হাইওয়ে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স
সুশৃঙ্খল সুরক্ষিত মহাসড়ক
৯৯৯
+৮৮০ ২ ৫৮৯৫৭৯১১
০ নভেম্বর ২০১৯ খ্রীস্টাব্দ। ঘড়ির কাটায় তখন বেলা ২ টা ৫৮ মিনিট। ৯৯৯ এ রমজান নামের এক ব্যক্তির কল।
ভয়ার্ত কণ্ঠে রমজান জানালেন,বরিশালের হিজলা থানাধীন মিয়ারচরের কাছে মেঘনা নদীর শাখা নদীতে খননকাজে ব্যবহৃত ড্রেজারের ছয়টি পল্টুন নোঙর করা ছিল। ঘূর্ণিঝড়ে কারনে প্রবল বাতাসে সৃষ্ট ঢেউয়ের তোড়ে একটি পল্টুন নোঙর ছিঁড়ে আনুমানিক ২৫- ৩০ শ্রমিকসহ নদীতে ভেসে গেছে। প্রবল ঘূর্ণি বাতাসের সাথে প্রচণ্ড ঢেউয়ে শ্রমিকসহ পল্টুনটি দিকবিদিক হয়ে নদীতে ভাসছে। এরপর, তিনি ৯৯৯ এর কাছে বিপদগ্রস্ত শ্রমিকদের উদ্ধারের দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অনুরোধ জানান।
৯৯৯ তাৎক্ষণিকভাবে কলার রমজানকে হিজলা থানার ওসির সাথে কথা বলিয়ে দেন। একই সঙ্গে ৯৯৯ এর পক্ষ থেকে বিষয়টি বরিশাল পুলিশ কন্ট্রোল রুম, নৌ পুলিশ ও কোষ্ট গার্ডকে জানানো হয় এবং উদ্ধার তৎপরতা চালানোর জন্য অনুরোধ করা হয়।
এমন সংবাদ পেয়ে দুর্যোগপূর্ণ বৈরী আবহাওয়া উপেক্ষা করে হিজলা থানা পুলিশের একটি দল ও নৌ-পুলিশের একটি দল যৌথভাবে একটি বড় ইঞ্জিন চালিত নৌযান যোগে শ্রমিকদের উদ্ধার করতে রওনা দেয়। ইতিমধ্যে কোষ্টগার্ডের একটি দলও শ্রমিকদের উদ্ধারে রওনা দেয়।
উত্তাল নদীর বুকে প্রায় পৌনে দুই ঘণ্টাব্যাপী অভিযানের পর পুলিশের উদ্ধারকারী যৌথদলটি দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছে নদীতে ভাসমান পল্টুন থেকে ১৮ জন শ্রমিককে উদ্ধার করে। এরপর কোষ্টগার্ড সেখানে পৌঁছে ১২ জন শ্রমিককে উদ্ধার করে। ফলে ৩০ জন শ্রমিকের জীবন রক্ষা পায়। এভাবেই একটি উদ্ধার অভিযানের সফল পরিসমাপ্তি ঘটে।