হাইওয়ে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স

সুশৃঙ্খল সুরক্ষিত মহাসড়ক

  • ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, বৃহস্পতিবার

৯৯৯

+৮৮০ ২ ৫৮৯৫৭৯১১

কমিউনিটি পুলিশিং

কমিউনিটি পুলিশিং সংক্রান্ত তথ্যঃ

হাইওয়ে রেঞ্জে কমিউনিটি পুলিশের কমিটি ও সদস্য সংখ্যা রিজিয়ন ভিত্তিক দেখানো হলোঃ

রেঞ্জ কমিউনিটি পুলিশিং কমিটি সদস্য
হাইওয়ে রেঞ্জ কুমিল্লা রিজিয়ন, কুমিল্লা ২৩১ ৪১০১
গাজীপুর রিজিয়ন, গাজীপুর ১৩১ ২৮৪৯
বগুড়া রিজিয়ন, বগুড়া ১৮৮ ৩১৩৭
মাদারীপুর রিজিয়ন, ফরিদপুর ৮৫৭ ১০৭৪৫
সর্বমোট ১৪০৭ ২০৮৩২

কমিউনিটি পুলিশ কি?

লন্ডন মেট্রোপলটিন পুলিশের প্রতিষ্ঠাতা রর্বাট পিলের গণমুখী পুলিশিং এর মূলনীতি হতেই মূলতঃ কমিউনিটি পুলিশিং এর ধারণা আসে।কমিউনিটি পুলিশিং হচ্ছে অপরাধ সমস্যা সমাধানে পুলিশ ও জনগনের যৌথ অংশীদারিত্ব প্রতিষ্ঠার একটি নতুন পুলিশিং র্দশন । আমাদের দেশে পুলিশি  র্কমকাণ্ডে জনগণের অংশীদারিত্ব প্রতিষ্ঠারর মাধ্যমে র্কাযকরভাবে অপরাধ প্রতিরোধের জন্য কমিউনিটি পুলিশিং ধারণা গ্রহণ করা হয়েছে। কমিউনিটি পুলিশিং ব্যবস্থা কমউিনিটির সদস্যগণ, সমাজের বিভিন্ন সরকারি বা বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এবং পুলিশের অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে অপরাধ প্রতিরোধ ও জনগণের জীবনযাত্রার মানোন্নয়রে লক্ষ্যে বিভিন্ন র্কাযক্রম পরিচালিত হয় কমিউনিটি পুলিশিং মূলত একটি প্রতিরোধমূলক পুলিশিং ব্যবস্থা। এই ব্যবস্থায় অপরাধরে কারণগুলো অনুসন্ধান করে সেগুলো দূর করার পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয় । অপরাধের কারণগুলো দূর করা যহেতেু পুলিশে একার পক্ষে সম্ভব নয় তাই এই কাজে অন্যান্য ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের সাথে অংশীদারিত্ব প্রতিষ্ঠা করা হয়। কমিউনিটি পুলিশিং এর যাবতীয় র্কমকাণ্ড অপরাধ প্রতিরোধ তথা অপরাধ যাতে ঘটতে না পারে সইে লক্ষ্যে পরিচালিত হয়। কমিউনিটি পুলিশিং ব্যবস্থার মাধ্যমে পুলিশ জনগণকে নিজেরাই যাতে নিজ নিজ এলাকার অপরাধগুলো প্রতিরোধ করতে পারে তার জন্য জনগণকে আইনী পরার্মশ দেয়া, অপরাধ সম্পর্কে সচেতন করা,  অপরাধকর্ম সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য বা পরার্মশ দেয়া ইত্যাদির মাধ্যমে ক্ষমতায়ন কর।

কমিউনিটি পুলিশের বৈশিষ্ট্যঃ

১। কমিউনিটি পুলিশিং ব্যবস্থা পুলিশ ও জনগনরে মধ্যে নিয়মিত যোগাযোগ নিশ্চিত করা।

২। এটি একটি প্রতিরোধমূলক ও সমস্যা সমাধানভিত্তিক পুলিশী ব্যবস্থা।

৩। পুলিশ ও জনগণরে সমন্বয়ে উভয়ের নিকট গ্রহণীয় পুলিশী র্কাযক্রমরে একটি র্দশন হচ্ছে কমিউনিটি পুলিশিং।

৪। এ ব্যবস্থায় জনগণ এলাকার সমস্যা ও সমস্যার কারণ চিহ্নিত করে তা সমাধানরে লক্ষ্যে পুলিশের সাথে

অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে কাজ করার সুযোগ পায়।

৫। জনগণের নিকট পুলিশের জবাবদিহিতা নিশ্চিত হয়।

৬। পুলিশ ও জনগনের মধ্যে পারস্পরিক আস্থা, সমঝোতা ও শ্রদ্ধা বৃদ্ধি পায়।

৭। জনগণ পুলিশ র্কাযক্রম ও পুলিশের সীমাবদ্ধতা সম্বন্ধে জানতে পারা।

৮। পুলিশ ও জনগনের মধ্যে দূরত্ব কমে এবং জনগনের মধ্যে পুলিশ ভীতি ও অপরাধ হ্রাস পায় এবং জনগণ পুলিশকে সহায়তা করার জন্য উদ্বুদ্ধ হয়।

৯। পুলিশ জনগণকে পরার্মশ ও উৎসাহ দিয়ে তাদের অনেক সমস্যা তাদের দ্বারাই সমাধানের পথ বের করার জন্য অনুঘটক হিসেবে কাজ করা।

১০। কমিউনিটির সম্পদ কমিউনিটির উন্নয়ণের জন্য ব্যবহারের সুযোগ সৃষ্টি হয়।

কমিউনিটি পুলিশের সুফলঃ

১। পুলিশ ও জনগনের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা ও অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে অপরাধ দমন ও এলাকার সমস্যা সমাধানের সুযোগ সৃষ্টি হয়।

২। জনগণের সহায়তায় পুলিশ নির্দিষ্ট এলাকার সমস্যা সমাধানের কারণ চিহ্নিতি করে তা সমাধানের পরকিল্পনা ও বাস্তবায়নরে পদক্ষপে নিতে পারে।

৩। জনগণকে পুলিশের কাজে সম্পৃক্ত হওয়ার সুযোগ পাওয়ায় জনগণরে প্রত্যাশা ও মতামতরে আলোকে পুলিশী সেবা নিশ্চিত করা যায়।

৪। পুলিশ এবং জনগনের মধ্যে যোগাযোগ বৃদ্ধি পায় এবং জনগণ পুলিশ কাজের প্রক্রিয়া এবং পুলিশের সীমাবদ্ধতা জানতে পারা।

৫। পুলিশ ও জনগনের মধ্যে পারস্পরিক আস্থা, সমঝোতা এবং পারস্পরিক শ্রদ্ধা বৃদ্ধি পায়।

৬। পুলিশ ও জনগনের মধ্যে দূরত্ব হ্রাস পায়। জনগণ পুলিশকে আপন ভাবতে শিখা।

৭। জনগণের মধ্যে পুলিশ ভীতি ও অপরাধ ভীতি হ্রাস পায় এবং পুলিশকে সহায়তা করার জন্য জনগণ উদ্ধুদ্ধ হয় ও সাহস পায়। মানুষের মধ্যে পুলিশকে এড়িয়ে চলার প্রবণতাও হ্রাস পায়।

৮। পুলিশই জনতা, জনতাই পুলিশ। এ স্লোগান বাস্তবে রুপ নেয়।

৯। এলাকার অপারাধ দমন ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশের সহায়ক শক্তি হিসেবে একটি গণফোরাম তৈরী হওয়ায় অপরাধীরা নির্বিঘ্নে অপরাধ সংঘটনরে সাহস পায় না। সমাজে অপরাধ হ্রাস পায়।

১০। সমাজে শান্তি-শৃঙ্খলা নিশ্চিত হয় এবং জনগণের জীবন যাত্রার মান উন্নত হয়।

কমিউনিটি পুলিশিংএর সাংগঠনকি কাঠামোঃ

কমিউনিটি পুলিশিং এর অঞ্চল ভিত্তিক সাংগঠনকি কমিটির দুটো কাঠামো থাকেঃ (১) উপদেষ্টা পরষিদ এবং (২) নির্বার্হী কমিটি বা র্কাযকরী পরষিদ

উপদেষ্টা পরষিদ

উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সংখ্যা ৮-১০ জন হয়। তবে যদি র্কাযকরী কমিটি মনে করে এলাকার বিশেষ কোন ব্যক্তি কমিউনিটি পুলিশিং সংগঠনে গুরুত্বর্পূণ ভূমিকা রাখতে পারে সেক্ষেত্রে এর সংখ্যা বৃদ্ধি করার সুযোগ আছে।

নির্বার্হী কমিটি/র্কাযকরী পরষিদঃ

নির্বার্হী কমিটির সদস্য সংখ্যা ১৫-২০ এর মধ্যে হয়ে থাকে। তবে এলাকার উদ্যোগী, আগ্রহী এবং খ্যাতি সম্পন্ন কোন বিশেষ অর্ন্তভূক্ত করতে সদস্য সংখ্যা বৃদ্ধি করে র্সবোচ্চ ২৫ জন করা যায়।

আইনগত ভিত্তিঃ

কোন অধ্যাদশে বা আইনের মাধ্যমে এদেশে কমিউনিটি পুলিশিং ব্যবস্থা প্রর্বতন করা হয়নি। তবে ফৌজদারী র্কাযবিধির ৪২, ৪৩, ৪৪, ও ৪৫ ধারা অনুসারে কিছু ক্ষেত্রে জনসাধারণ পুলিশ এবং ম্যাজিস্ট্রেটকে সহায়তা করতে বাধ্য। জনপ্রতিনিধি যেমন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান-মেম্বারগণ পুলিশি কাজে সহায়তা চাইতে পারেন। পুলিশ রেগুলেশনের ৩২ প্রবিধানে এর উল্লেখ  আছে। ফৌজদারী র্কাযবিধি এবং পুলিশ রেগুলেশনের এই ধারা অনুসারে পুলিশী সহায়তা ও নেয়া যায়। কমিউনিটি পুলিশিং হলো পুলিশকে সহায়তা করার জনগণের একটি সংগঠিত শক্তি।কাজেই প্রচলিত আইনেই কমিউনিটি পুলিশিং এর সর্মথন আছে।